AD Income BD!

AD Income BD!

Earn Money Very Easy Way !!

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday, October 13, 2021

how to grow youtube channel 2022 and Make money online 2022

12:31 AM 0

                                     

কিভাবে ইউটিউবে সাবক্রাইবার বাড়াবেন 

How to grow youtube channe


ইউটিউব সাবস্ক্রাইবার বাড়ানোর সবচেয়ে সহজ এবং সহজ উপায়- 
The simplest and easiest way to increase YouTube subscribers Free -

1. Add a subscribe button watermark / সাবস্ক্রাইব বাটন ওয়াটারমার্ক যুক্ত করুন
Free YouTube Subscribe Button PNGs Photo [ Includes Both 150 X 150 Px And Square Formats Under 1mb ]
Steps - 
Step #-  Open YouTube Log into the YouTube account with the videos you want to add your subscribe button to. 
Step #2-  Click On Creator Studio Click on the main drop down on the far right (with your avatar) and select "Creator Studio" from the drop down.
Step #3 Click On "Channel" From the creator studio, navigate to the left side of the screen and select "Channel." 
Step #4 Click On "Branding"
Step #5 Click On "Add Watermark" 
Step #6 Upload Watermark
Step #6 Upload Watermark
Step #7 Add Watermark Show Starting Time .





Read More

Friday, September 14, 2018

একুরিয়ামে মাছ পালনের মাধ্যমে আয়

10:48 AM 0

একুরিয়ামে মাছ পালনের মাধ্যমে আয়


সূচনা কথা ও কেস স্টাডি
বাসাবাড়ি কিংবা অফিসের ভেতরের শোভা বৃদ্ধির জন্যে বহুকাল যাবৎ পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশের মানুষেরও একুয়ারিয়ামে মাছ রাখার কিংবা মাছ পালবার একটা শখ ছিল। বহুদিনের এই শখটি এখন একটি প্রতিষ্ঠিত বাণিজ্যে রূপ নিয়েছে। এখন একুয়ারিয়াম শুধুই একটি কাচের আধায় নয়, এটি একটি উপার্জনের উৎসও বটে। কথা হচ্ছিল ঢাকার গোপীবাগের সোহেলের সাথে। সোহেল এখন বাহারি মাছের একজন ব্যবসায়ী। ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত পড়াশোনা করে সামাজিক অবক্ষয়ের স্রোতে ভাসিযে দিয়েছিল সোহেল নিজেকে, কিন্তু বাহারি মাছ তাকে নতুন পথের সন্ধান দিয়েছিল। শখের বসে সোহেল বহুদিন আগে থেকেই বাহারি মাছ পালত। হঠাৎ একদিন লক্ষ্য করল একটি গোল্ডফিশ অনেকগুলো বাচ্চা দিয়েছে। সোনার টুকরের মতো দেখতে এই গোল্ডফিশ সোহেলের ভাগ্য ফিরিয়ে দিল। বাহারি মাছ পালার শখটি বাহারি মাছ চাষে রূপান্তরিত হয়ে গেল। গোল্ডফিশের বাচ্চাগুলো সে ঢাকার কাঁটাবন মসজিদ সংলগ্ন বাহারি মাছের বাজারে বিক্রি করে কিছুটা মুনাফা পেল। এ থেকে গুরু হল তার পরিবর্তন। এখন সে একজন বাহারি মাছের পোনা উৎপাদক বা ব্রীডার। মাসে তার না হলেও দশ থেকে বারো হাজার টাকা আয় হয়। সে এখন সমাজে প্রতিষ্ঠিত একজন যুবক। কাঁটাবন মসজিদ সংলগ্ন বাহারি মাছের বাজারে সোহেলের একটি দোকানও রয়েছে। সোহেলের মতো এমন আরও কয়েকজনের সাথে পরিচয় গটল যারা বাহারি মাছ ব্যবসার সাথে জড়িত। তালুকদার এদের একজন। ঢাকার হাতিরপুল এলাকায় তার নিজ বাড়িতে বাহারি মাছের এক বিশাল হ্যাচরি দেখে এ মাছ ব্যবসায় বাংলাদেশ কতদূর এগিয়ে গেছে তা অনুধাবন করতে পারলাম। সবচেয়ে ভালো লাগার ব্যাপার হল, এক্ষেত্রে যতটুকু উন্নয়ন ঘটেছে তার পুরোটাই প্রাইভেট সেক্টর বা ব্যক্তি উদ্যোগে। তালুকদার সাহেবই এদেশে সর্বপ্রথম বাহারি মাছ আমদানি করেছিলেন। আবার তিনিইি সর্বপ্রথম এদেশ থেকে বাহারি মাছ রফতানি করলেন '৯২-এ। এখন বাংলাদেশ নিয়মিত বাহারি মাছ রফতানি করে। বাংলাদেশ থেকে জার্মানিতেই সবচেয়ে বেশি বাহারি মাছ রফতানি হয়। এখানে একটি মজার ব্যাপার আছে- আর তা হল ক্ষেত্রবিশেষে পৃথিবীর অন্য প্রান্তের বা দেশের টেবিল ফিশ আমাদের দেশে কাচের আধারে বাহারি মাছ হিসাবে গণ্য হয়। আবার আমাদের দেশের টেবিল ফিশ যেমন- টেংরা, পুঁটি, বাইন, গুতুম, টাকি, খলিসা, মেনি- এগুলোর ইউরোপের বাজারে অত্যন্ত আকর্ষণীয় একুয়ারিয়াম ফিশ হিসাবে চাহিদা রয়েছে। অনেকে আছেন সোহেলের মতো মাছ পালতে পালতে ব্যবসায়ী হয়েছেন। যেমন- ঘরে একুয়ারিয়াম আছে, মাছ বড় হচ্ছে, বাচ্চা দিচ্ছে। এগুলো বিক্রি করছে। এতে বাড়তি কিছু আয় আসছে, মন্দ কি! অনেকটা মাছের তেলে মাছ ভাজারই মত। যা হোক, একুয়ারিয়ামে কিভাবে মাছ পালবেন, কোথায় একুয়ারিয়াম সাজাবেন, মাছকে কী খাবার দেবেন-সে সম্পর্কে এখন বলছি : একুয়ারিয়ামরে বিভিন্ন আকার রয়েছে। ঘরে রাখার জন্য ২৪"×১২"×১২" একুয়ারিয়ামই উপযুক্ত। একুয়ারিয়ামের ফ্রেমগুলো মজবুত ধাতব পদার্থের তৈরি এবং চতুর্পাশ্বে ও তলার কাচ অন্তত ০.২৫" পুরু হওয়া প্রয়োজন।
একুয়ারিয়ামের মাছ রাখার জন্য নিম্নোক্ত কাজগুলো পর্যায়ক্রমে করতে হবে-
১. পরিষ্কার থিতানো পানি দিয়ে একুয়ারিয়ামের ভেতরে এবং বাইরে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
২. কখনও সাবান বা অন্য কোন ডিটারজেন্ট ব্যবহার করা যাবে না। তবে লবনের ঘন দ্রবণ ব্যবহার করা যেতে পারে।
৩. পরিষ্কার মোটা দানার বালি সংগ্রহ করে উপরে বর্ণিত পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
৪. ধৌত করা বালি একুয়ারিয়ামের তলদেশে ৪ ইঞ্চির মতো গভীর করে ভালোভাবে বসাতে হবে।
৫. পানি ভর্তি করার আগেহ একুয়ারিয়ামকে বাড়ির নির্দিষ্ট স্থানে সেট করতে হবে সেট করার সবচেয়ে উত্তম জায়গা হল ঘরের উত্তর সাইডের জানালা পাশর্্ব যেখানে দিনে আশিংক সূর্যালোক পড়ে।
৬. এবার থিতানো ক্লোরিনমুক্ত পানি দ্বারা একুয়ারিয়াম পূর্ণ করতে হবে। পানির উপরিতল একুয়ারিয়ামের উপরিতল থেকে ৩ ইঞ্চি বা ৪ ইঞ্চির মতো নিচে হতে হবে।
৭. জলজ উদ্ভিদ বালির মধ্যে লাগাতে হবে এবং সুন্দর (প্রয়োজনে রংযুক্ত/রঙ করা) নুড়িপাথর/ছোট পাথরের টুকরা দ্বারা গাছের গোড়াকে ঢেকে দিতে হবে। নানা ধরনের জলজ উদ্ভিদই একুয়ারিয়ামের রোপন করা যায়। এ ব্যাপারে শালুক, ঝাঁজি, ঝাউঝাঁজি, পাতা কাটা শেওলা, জলজ পদ্ম, শাপলা ইত্যাদি জলজ উদ্ভিদগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে।

মাছ ছাড়া
একুয়ারিয়ামের বেশিসংখ্যক মাছ ছাড়ার চেয়ে অল্পসংখ্যক সুন্দর সুস্থ ও সবল মাছ ছাড়াই উত্তম। নিয়মানুযায়ী ১ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের মাছের জন্য প্রায় ১ গ্যালন পরিমাণ পানির প্রয়োজন। সেই হারে ২৪ ইঞ্চি দ্ধ ১০ ইঞ্চি দ্ধ ১২ ইঞ্চি মাপের একুয়ারিয়ামে ১/১.৫ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের এক ডজন মাছ অনায়াসেই স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকতে পারে এবং এদের শ্বাসকার্যের ব্যাঘত ঘটতে দেখা যায় না। আমাদের দেশীয় মাছের মধ্যে বউ মাছ, রঙিন খলিসা, চিংড়ি, পুঁটি, টেংরা, চান্দা, কানপোনা, বেলে মলা, কই, মাগুর ইত্যাদি এবঙ বিদেশি মাছর মধ্যে গাপ্পি না রঙের সোর্ড টেইল, মলি, প্লাটি, এনজেল, জেরা, রঙিন তেলাপিয়া ইত্যাদি মাছ একুয়ারিয়ামে ছাড়া যেতে পারে।
মাছের খাদ্য
বাজারে একুয়ারিয়াম মাছর বিভিন্ন ধরনের খাবার পাওয়া যায়। এগুলো মাছের দেহের ওজনের ৫% করে সকালে ও বিকালে দুবার খাওয়ানো যেতে পারে। এছাড়া ফিশমিল ও ভূষি ১:২ অনুপাতে একত্রেও অল্প পানিতে মিশিয়ে ছোট ছোট দানা করে একটা বাটিতে রেখে একুয়ারিয়ামের তলায় রাখতে হবে। অনেক সময় কেঁচো, টিউবিফিক্স, ভাত ইত্যাদি খাবার হিসাবে ব্যবহার করা যায়। খাবার সমস্ত জায়গায় না ছিটিয়ে নির্দিষ্ট ২ বা ৩ হায়ড়ায় দিতে হবে।
প্রতিদিন ২ বা ৩ ঘন্টার জন্য সূর্যকিরণে একুয়ারিয়াম রাখা উত্তম। তবে অপরিহার্য নয়। এর ঢাকনার ভেতর দিকে থেকে টিউব লাইট এর আলো দ্বারা একুয়ারিয়ামকে আলোকিত করা যায়। পর্যাপ্ত আলোর প্রভাবে একুয়ারিয়ামকে আরও মনোরম দেখায়। এ ব্যাপারে ৬০ ওয়াটের ইলেকট্রিক বাল্ব ব্যবহার করা যেতে পারে। আগেই বলেছি, বাংলাদেশে বাহারি মাছ আজ যে পর্যায়ে এসেছে। তার পুরোটাই ব্যক্তি উদ্যোগে, এর তেমন কোনো প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নেই। কেউ যদি এ বিষয়ে পরামর্শ বা নির্দেশনা চান তবে তো দেয়া সম্ভব হয় না। আমি ব্যক্তিগতভাবে দেখেছি যে, একুয়ারিয়ামে ফিশের উপর টিভি অনুষ্ঠান প্রচারের পর উল্লেখ যোগ্যসংখ্যক চাহিদা আসা সত্ত্বেও তার সমাধান দেয়া সম্ভব হয়নি। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বগুড়া, যশোহর সহ বড় বড় শহরে একুয়ারিয়াম ফিশের ছোট-বড় মার্কেট আছে ঠিকই, কিন্তু এগুলো একেবারেই নিজেদের চেষ্টায় দাঁড়িয়েছে। এই ক্ষেত্রটিতে একটা বড় সম্ভাবনা রয়েছে, যা উদ্যোক্তারা প্রমাণ করছেন। সে ক্ষেত্রে সরকার চাইলে এ বিষয়টিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পারে।
তথ্য সূত্র: শাইখ সিরাজ রচিত ‘মাটি ও মানুষের চাষবাস’ গ্রন্থ থেকে সংগ্রহীত
গোল্ডফিশের প্রজনন, শখ থেকে আয়
গোল্ডফিশে
বর্তমান বিশ্বে স্বচ্ছল মানুষের ঘরে অ্যাকুরিয়াম অন্যতম শোভাবর্ধক অংশে পরিণত হয়েছে। ২০০৭ সালে বিশ্বে অন্তত এক মিলিয়ন অ্যাকুরিয়াম ফিশ বিক্রি হয়েছে যার মূল্য কয়েক বিলিয়ন টাকা। চমকপ্রদ তথ্য হলো এই বিপুল পরিমাণ মাছের ৬৫ ভাগ সরবরাহ করে এশিয়া, ভারত, মালয়েশিয়া, চীন ও থাইল্যান্ড এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লাভ করেছে।
অ্যাকুরিয়াম ফিশে মিঠাপানির ৪০০০ এবং লোনাপানির ১৪০০ প্রজাতির মধ্যে গোল্ড ফিশ অন্যতম। বর্ণিল কার্প জাতীয় এই মাছ আমাদের আবহাওয়ার সাথেও বেশ চাষোপযোগী। তাই স্বল্প পুঁজিতে এর চাষ করে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা আনা সম্ভব।
হ্যাচারি ব্যবস্থাপনা:
মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গোল্ড ফিশের প্রজনন মৌসুম। এর আগেই উন্নত খাদ্র ও ব্যবস্থপনার মাধ্যমে এই মাছ সংগ্রহ কিংবা উৎপাদন করা প্রয়োজন। এরা ৮ সে.মি. লম্বা হলেই প্রজননক্ষম হয়ে ওঠে। পুরুষ গোল্ডফিশের প্রজননক্ষম হলে মুখ, শরীর ও পায়খানায় সাদা ফুস্কুরি এবং স্ত্রী গোল্ড ফিশের পেট ফুলে যায় এবং নরম হয়ে যায়, পায়ুপথ ও বড় দেখায়। প্রজননের আগে পুরুষ ও স্ত্রী গোল্ড ফিস আলাদা করে রাখলে ভাল ফল পাওয়া যায়। ৪×১.৫×২ ঘনফুটের এ্যাকুরিয়াম তৈরি করে ভালভাবে জীবাণুমুক্ত করে পরিস্কার পানি দিয়ে ৬ ইঞ্চি পর্যন্ত ভর্তি করতে হবে। বেশি পানি ভরলে পানির চাপে ডিম ফোটা ব্যাহত হতে পারে। তিনটি পুরুষ ও দুইট স্ত্রী গোল্ড ফিশ একত্রে সেই অ্যাকুরিয়ামে ছাড়তে হবে। এ সময় তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস রাখা ভাল। একটি পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী গোল্ড ফিস ২০০০ পর্যন্ত ডিম ছাড়ে। স্ত্রী গোল্ডফিস ডিম ছাড়ার পর পুরুষগুলি দ্রুত ডিমের উপর বীর্য ছড়াতে থাকে। ডিম নিষিক্ত হলে মাছগুলো আলাদা করতে ডিমগুলোকে তাড়াতাড়ি অন্য ট্যাংকে স্থানান্তর করা দরকার। এক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখ্যতে হবে যে পানির তাপমাত্রা যেন অবশ্যই সমান থাকে। ডিমে ফাংগাস সংক্রমণ রোধ করার জন্য কয়েক ফোটা মেথিলিন ব্লু পানির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়া যায়। যে ডিমগুলো স্বচ্ছ ও হালকা বাদামী বর্ণের সেগুলো নিষিক্ত ডিম। অন্য ডিম নষ্ট ডিম হিসেবে সরিয়ে ফেলা দরকার। ৩-৪ দিন পর ডিম ফুটে বাচ্চা বের হবে। ২-৩ মাস বয়সে পোনা বিক্রির উপযোগী হয়ে ওঠে। ৩ মাস পর আবারও সেই একই পুরুষ ও স্ত্রী মাছগুলোর প্রজনন করানো যায়।
খাদ্য ব্যবস্থাপনা:
ডিম ফোটার প্রথম ৪৮ ঘন্টার মধ্যে রেনুকে কোন খাদ্য সরবরাহ করার দরকার হয় না। এরপর সেদ্ধ ডিমের কুসুম এবং আটা পেস্ট করে খুব ছোট পিলেট আকারে দেয়া যেতে পারে। অনেক সময় বাজারে রেনুর তরল খাবার পাওয়া যায়। ২ সপ্তাহ পর হতে ব্রাইন শ্রিম্প খাওয়ানো ভাল। ডিম থেকে রেনু বের হওয়ার প্রথম ৪ সপ্তাহ প্রতিদিন ৩ বার এবং ৪ মাস প্রতিদিন ২ বার করে খাবার প্রয়োগ করা যায়। ৪ মাস পর প্রতিদিন একবার খাবার দিলেই চলে। খাবার ব্যাপারে গোল্ড ফিশ বৈচিত্র পছন্দ করে। ভাসমান অথবা ডুবন্ত পিলেট আকারে খাদ্য দেয়া যায়। সব সময় একই খাবার ব্যবহার না করে ভিন্নতা আনা আবশ্যক। গোল্ড ফিশের খাবার নির্বাচনে উচ্চ শর্করা ও নিম্ন ফ্যাট সন্নিবেশ করা জরুরি। বেশি পরিমাণে খাবার দেয়া ঠিক না। ১-২ মিনিটে যতটুকু খাবার শেষ করে ততটুকুই খাবার সরবাহ করা দরকার। দিনে কোনভাবেই তিনবারের বেশি খাবার দেয়া ঠিক না।
অন্যান্য ব্যবস্থাপনা:
অব্যহৃত খাদ্য ও অন্যান্য বর্জ্য যত দ্রুত সম্ভব অপসারণ করতে হবে। প্রতিমাসে একবার পানিতে এক চা চামচ পরিমাণ খাবার লবণ মিশিয়ে দিতে হবে।
পোনার বয়স একমাস হলেই কৃত্রিম অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে।
পানির পিএইচ ৬.০-৮.০ খরত্ব ৫.১৯ এবং তাপমাত্রা ৪-১' সে. পর্যন- থাকতে হবে। তবে ২০-২০' সে. তাপমাত্রা এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে উপযোগী।
Read More

Thursday, September 13, 2018

ফেসবুক মার্কেটিং টিপস যা আপনার কাজে লাগতে পারে

6:53 AM 0
কেমন আছেন সবাই আশা করি সবাই ভাল আছেন আজ আমি আপনাদের সবার সাথে ফেসবুক মার্কেটিং নিয়ে আলোচনা করব আশাকরি যা আপনাদের খুব ভাল লাগতে বাধ্য করবে।

ফেসবুক অতি পরিচিত একটি নাম। ফেসবুকের জনপ্রিয়তা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। অনলাইন জগতে যতো স্যোশাল নেটওয়ার্ক মাধ্যামগুল আছে ফেসবুক তার ভিতরে অন্যতম। অনলাইনে মার্কেটিং করার জন্য ফেসবুক অন্যতম। বিশব্যাপি ফেসবুক ব্যাবহারকারীর সংখ্যা ৭৫০ মিলিয়ন। বাংলাদেশে দিনদিন ই-কমার্স সাইটে সংখ্যা বৃদ্ধি হওয়াই ফেসবুক মার্কেটিংয়ের গুরুত্ব অনেক। অধিকাংশ ব্যাবসায়ী কোম্পানিগুলোই ফেসবুক ফ্যান পেজ খুলে তাদের পণ্যগুলো মার্কেটিং করে থাকে । তাই বর্তমান অনলাইন জগতে কোম্পানি প্রসর করানোর জন্য ফেসবুক একটি কার্যকারী ভূমিকা রাখতে পারে। আজকে আমি আলোচনা করব জনপ্রিয়ও ৫ টি ফেসবুক মার্কেটিং টিপসের উপর যে টিপস গুলো আজ থেকে আপনার খুব কাজে লাগতে পারে।

১। পরীক্ষা মূলকভাবে দিনের ভিন্ন ভিন্ন সময়ে পোস্টঃ

Facebook-Engagement-posting-schedule-300x300অধিকাংশ ব্যাবসায়ী কোম্পানিগুলোই ফেসবুকে তাদের পোষ্টগুলো ট্র্যাডিশনাল বিজনেস আওয়ারে পোষ্ট করে থাকেন। কিন্তু আপনার ভিজিটরদের একটা বড় অংশ বিদেশে থাকলে তখন কি হবে  ? সেক্ষেত্রে আপনি দিনের বা রাতের ভিন্ন ভিন্ন সময়ে পোষ্ট করে দেখতে পারেন । সেটা অবশ্যাই  ভিন্ন ভিন্ন ফলাফল নিয়ে আসবে। এটা নির্ভর করবে আপানার পণ্যের ইউজারদের ধরনের উপর। আর এভাবে আপনি আপনার পোষ্টের জন্য সবচেয়ে ভাল সময় টি খুজে পেতে পারেন। তবে অবশ্যই অটোমেটেড পোষ্ট থেকে বিরত থাকা উচিত। দরকার হলে  আপনি  ফেসবুকের সিডিউল টুলটি ব্যাবহার করতে পারেন ।

২। ভিজিটরদেরকে আলোচনার সুযোগ দিনঃ

ফেসবুক মার্কেটিংয়ের আমি প্রথম যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করব তা হল ভিজিটরদের নিয়ে। আপনি হয়ত নতুন একটি পণ্য বা নতুন কোন ডিজাইন বাজারে নিয়ে আসতে চাচ্ছেন । সেক্ষেত্রে আপনি আপনার ফ্যানদের থেকে তাদের ফিডব্যাক নিতে পারেন। আপনি হয়ত তাদের মাঝে একটা জরিপ চালাতে পারেন বা ভোটের মাধ্যমে আপনার নতুন লোগোও বা পণ্যের রং সম্পর্কে তথ্য নিতে পারেন যা আপনাকে আপনার ব্যাবসায়কে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করবে। এটা শুধু আপনার পণ্যের  ব্র্যন্ড লয়ালিটি বাড়াবে না ,এটা আপনার ফ্যানরা কি চাচ্ছে সে সম্পর্কে ও আপনাকে একটা ধারনা দিবে।

৩। ছবি ব্যাবহার করুন :

ফেসবুক মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় যে বিষয় তা মাথায় রাখতে হবে তা হল পোস্টে ইমেজ ব্যাবহার। ইমেজ সাধারণত বেশি শেয়ার করা হয়ে থাকে । এক গবেষণায় দেখা গেছে  শুধুমাত্র টেক্সট বা লিঙ্কের চেয়ে ইমেজ  পোষ্ট ২ গুন বেশি এনগ্যাগম্যান্ট পেয়ে থাকে। এজন্য আপনাকে দামি ডি এস এল আর ক্যামেরা কিনতে হবে না। আপনি আপনার স্মার্ট ফোনে ইনস্টাগ্রাম ডাউনলোড করে নিয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে স্ন্যাপ নিতে এবং আপনার ফেকবুক পেজে আপলোড দিতে পারেন। শেয়ার করতে পারেন ভিডিও ।

৪। আপনি নিজে নিজের সবচেয়ে বড় ফ্যান হউনঃ

সাম্প্রতিক ট্রেন্ড বা ফ্যাড সম্পর্কে জানতে আপনার বিজনেস পেইজের বাইরের ফেসবুককে ভালভাবে বুজতে হবে। তাই যদি ইতিমধ্যেই আপনার একটি ব্যাক্তিগত একাউন্ট না থাকে আপনি আজই একটি একাউন্ট খুলে নিতে পারেন। এটা আপনাকে আপনাকে ফ্যানদের চোখে আপনার ব্যাবসায়কে দেখার সুযোগ করে দেবার পাশাপাশি আপনার কমপিটিটররা কি করছে তা দেখার এবং অন্যান্য ইউজারদের সম্পর্কে ধারনা নেবার সুযোগ করে দিবে।

৫। ফেসবুকের বাইরেও আপনার ফ্যানদের সাথে যোগাযোগ রাখুনঃ

এটা আপনি আপানর ফ্যানদের সাথে যোগাযোগ ইমেইল লিস্ট দিয়ে করতে পারেন। আপনি ইউজারদেরকে আপনার মেইল লিস্ট এ  নাম লিপিবদ্ধ করার জন্য তাদেরকে ইনসেন্টিভ দিতে পারেন। ইমেইল লিস্ট সংগ্রহ করার বিভিন্ন উপায়ে।  যেহেতু আপনি চান না ইউজার একবার মাত্র আপনার সাইট ভিজিট করে চলে যাক। তাই আপনি আপনার পেজের ট্যাবে একটি “কল টু একশান ” গ্রাফিক ব্যাবহার করতে পারেন। ভিজিটররা যেন খুব সহজে আপনার ফ্যান এর পরিণত হয়ে তাদের ফিডে আপনাকে এড করে তার জন্য তাদেরকে সব রকমের সুযোগ দিন।

সকলকে ধন্যবাদ 



Read More

Saturday, September 8, 2018

ডিজিটাল মার্কেটিং খাতে ক্যারিয়ার গড়বেন

10:54 PM 0
নতুন কোনো উদ্যোগ কিংবা ব্যবসার শুরুতেই ‘ডিজিটাল মার্কেটিং’ শব্দটি মাথায় আসে। কিভাবে আপনার পণ্য ইন্টারনেট ব্যবহার করে মানুষের কাছে পৌঁছে দেবেন, সেটাই হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে চাকরির পদসংখ্যা প্রতিনিয়তই বাড়ছে। আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে আপনার ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য।

ডিজিটাল মার্কেটিং ম্যানেজার

‘ডিজিটাল মার্কেটিং ম্যানেজার’ পদে চাকরি করতে চাইলে, আপনার বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরির অভিজ্ঞতা দেখানো লাগবে। বেশিরভাগ কোম্পানিই এই পদের জন্যে ২ থেকে ৫ বছরের অভিজ্ঞতাধারী লোক দেখতে চায়। এছাড়াও, আপনার যদি কোনো কোম্পানি বা ট্রেনিং সেন্টার থেকে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের উপর সার্টিফিকেট থাকে, তাহলে আপনার যেকোনো বড় কোম্পানিতে চাকরি পাওয়া সহজ হয়ে যাবে।   
Source: digitalfloats.com

ডিজিটাল মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য আপনার, যেকোনো কোম্পানির ডিজিটাল মার্কেটিং টিম পরিচালনা করা ও ইন্টারনেটে উপযুক্ত নেটওয়ার্ক তৈরী করার দক্ষতা থাকা লাগবে। একজন ডিজিটাল মার্কেটিং ম্যানেজারের বেতন, উনার দক্ষতার উপর নির্ভর করে বাৎসরিক ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। অভিজ্ঞতা বেশি হলে, বেতন সর্বোচ্চ ৪০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।




সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজার

একজন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজারকে এসইও এক্সিকিউটিভও বলা হয়ে থাকে। একজন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজার যেকোনো কোম্পানির ওয়েবসাইটের কিওয়ার্ড রিসার্চ, পেইজ ইনডেক্স, ইউজার অপটিমাইজেশন, ওয়েবমাস্টার টুলস, ডুপ্লিকেট কনটেন্ট ব্যবস্থাপনাসহ আরো অনেক ধরনের কাজ করে থাকেন। মূলত একজন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজার এসইও নিয়েই কাজ করে থাকেন।
Source: marketingland.com
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে হলে আপনাকে এসইওতে দক্ষ হতে হবে। এছাড়াও, মার্কেট রিসার্চ করে বিভিন্ন এসইও অ্যাপ্লিকেশন ও টুলস ব্যবহার করা জানতে হবে। একজন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজারের বাৎসরিক বেতন ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়াও দক্ষতার উপর ভিত্তি করে, এই বেতন ৩০ লক্ষ টাকায় উন্নীত হতেও পারে।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এক্সপার্ট

একজন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এক্সপার্টের মূল কাজ হচ্ছে, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যেকোনো কোম্পানির জন্যে ট্র্যাফিক তৈরি করা এবং সেই ট্র্যাফিককে সেই কোম্পানির পণ্য ক্রয় করতে বাধ্য করা। একজন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এক্সপার্ট মূলত ফেসবুক, ইউটিউব, গুগল প্লাস, লিংকডিন, পিন্টারেস্ট,  ইন্সটাগ্রাম ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন।



একজন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এক্সপার্ট হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে গভীর জ্ঞান থাকা লাগবে। একজন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এক্সপার্টের বাৎসরিক বেতন ৩ লক্ষ থেকে শুরু করে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়াও কাজের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার উপর ভিত্তি করে এই বেতন ১৫ লক্ষ টাকায় পর্যন্ত উন্নীত হতে পারে।

Read More

উদ্যোক্তা হওয়ার চেয়ে যখন উদ্যোক্তা হিসেবে সফল হওয়াটাই কঠিন

12:58 AM 0


‘উদ্যোগ’ ও ‘উদ্যোক্তা’ দুটি আকর্ষণীয় শব্দ, যাতে মিশে আছে আশাবাদ ও সাফল্যের আকাঙ্ক্ষা। একটি আইডিয়া তৈরি করুন,সে আইডিয়া অনুযায়ী কাজ করুন আর তারপরে মার্কেটিং করুন। আর দিনশেষে এটিএম মেশিন থেকে টাকা তুলুন! কিন্তু না, ক্যারিয়ার হিসেবে ব্যবসাবাণিজ্য বেশ প্রলোভনীয় হলেও এতে সাফল্য লাভের পথটি এতোটা মসৃণ নয়।
 সফল উদ্যোক্তারা কর্মঠ ও বুদ্ধিমান হয়ে থাকেন। বর্তমান প্রযুক্তির যুগে একটি উদ্যোগ নেয়া, একটি ব্যবসা শুরু করাটা অনেক সহজ। স্মার্টফোনের মাধ্যমে কয়েক ক্লিকেই একটি ব্যবসা শুরু করা যায়। কিন্তু এই ব্যবসা বা উদ্যোগে সফল হওয়া কতটা সহজ, তাই নিয়েই আজকের এই আলোচনা।

আপনার আইডিয়া হতে পারে অসম, কিন্তু পরিশ্রম অব্যাহত রাখুন 

ধরা যাক, আপনার কাছে বেশ ভালো একটি আইডিয়া আছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, আপনি সেই আইডিয়াতে কিছু ফান্ড বিনিয়োগ করে আর মার্কেটিং করে ব্যবসায়িক দুনিয়ার অর্থই পালটে দিতে পারবেন। কারণ বাণিজ্য হচ্ছে এমন একটি জায়গা, যেখানে প্রত্যেক মুহূর্তে অপেক্ষা করছে নিষ্ঠুর কিছু সত্য, যা মেনে নেয়াটা ততটা সহজ হয় না।
আপনার কোম্পানির পণ্য কাস্টমারের কাছে বিক্রি হবে কিনা,তার কোন গ্যারান্টি নেই। আপনার কোম্পানি আগামী এক বা দু’ বছরের মধ্যে কিংবা আদৌ কখনো লাভের মুখ দেখতে পারবে কিনা, তারও নিশ্চয়তা নেই।
তাই যত তাড়াতাড়ি আপনি এই সত্য স্বীকার করে কাজ করতে পারবেন, তত তাড়াতাড়িই আপনি সফল উদ্যোক্তাদের একজন হিসেবে  প্রতিষ্ঠিত হতে পারবেন। সফল উদ্যোক্তারা জানেন যে, তারা যা করছেন, সে কাজে ভুল হতেই পারে। কিন্তু তারা সেই ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে থাকেন। আপনাকেও তাই করা শিখতে হবে।
কাজে লাগানোর পূর্বে আইডিয়া বিভ্রম ছাড়া আর কিছুই নয়!
আপনার আইডিয়া বিক্রি নাও হতে পারে। কিন্তু আপনাকে সে ঝুঁকি নিতেই হবে। আর তাই ভাবুন ও সে অনুযায়ী অক্লান্ত পরিশ্রম করুন, যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনি সফলতার মুখ দেখতে পাচ্ছেন।

ব্যবসায় ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে সময়ের চিন্তা দূরে সরিয়ে রাখুন 

আপনি যদি ভেবে থাকেন, ব্যবসায় ক্যারিয়ার গড়া অনেক সহজ, তাহলে আপনার সে ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। একটি ব্যবসাকে শূন্য থেকে গড়ে তোলা অনেক কষ্টকর, সময়সাপেক্ষ আর গতানুগতিক চাকরির চেয়ে বেশি জটিল।
সফল উদ্যোক্তারা জানেন যে, তারাই নিজেদের বস। প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে নতুন স্ট্র্যাটেজি নিয়ে চিন্তা করা, নতুন কিছু নিয়ে ভাবতে থাকা, কাস্টমারদের জন্যে নতুন কিছু তৈরি করার স্বপ্ন দেখা, এ সবকিছু সহজ কথা নয়।
একটি মার্কেটে শত শত প্রতিযোগীর সাথে লড়াই করে ক্রেতাদের ধরে রাখাও সহজ কথা নয়।  আর সেই ক্রেতাদের জন্য নতুন পণ্যকে ব্র্যান্ড হিসেবে গড়ে তুলতেও হয়। যারা সফল, তারা হাজারটা কষ্ট সহ্য করে, হাজারটা পতন সহ্য করেও ব্যবসায় টিকে থাকে। আর তাই একজন উদ্যোক্তা হিসেবে আপনাকে সহনশীল হতে হবে, টিকে থাকা শিখতে হবে।

‘ঢিলেমির স্বভাব’ হতে পারে আপনার সবচেয়ে বড় শত্রু 

প্রত্যেক উদ্যোক্তারই অনেক ধরনের শত্রু থাকে। যেমন, প্রতিযোগী, পর্যাপ্ত ফান্ডের অভাব, অপর্যাপ্ত ইচ্ছেশক্তি।  কিন্তু সবচেয়ে বড় শত্রু হতে পারে আপনার অলসতা বা ঢিলেমির স্বভাব।
আপনার কাছে দেশের সবচেয়ে ভালো আইডিয়া, যথেষ্ট পরিমাণ ফান্ড ও বুদ্ধিদীপ্ত টিম থাকতে পারে। কিন্তু এসব তখনই কাজে লাগবে, যখন আপনি আপনার আইডিয়াকে কাজে লাগিয়ে বাজারজাত করতে পারবেন। আপনার কাজের দক্ষতা ও কাজের প্রতি ভালোবাসার ওপরই আপনার প্রতিটি পণ্যের  বিক্রি নির্ভর করে।
মাঝে মাঝে যখন হতাশ লাগবে, নিজের কাজের প্রতি বিরক্ত হয়ে যাবেন, তখন আবার কাজ ছেঁড়েছুঁড়ে গেমস খেলতে বসে যাবেন না যেন!  প্রত্যেক উদ্যোক্তাই তার ব্যবসায়িক জীবনের কোনো না কোনো সময় আলসেমি করেন। কিন্তু সফল উদ্যোক্তারা নিজেদের ঢিলেমি স্বভাবকে নতুন কর্মশক্তিতে পরিণত করতে পারেন।
সফল উদ্যোক্তারা নিয়ম মেনে, নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যেতে পারেন। কুঁড়েমি ঝেড়ে ফেলে প্রতিটি দিন ধরে তারা একটু একটু করে নিজেদের স্বপ্ন পূরনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন। কারণ তাদের লক্ষ্য থাকে, মার্কেটে টিকে থাকা,প্যাশনের কাছে হার না মানা।

কাজের জন্য আত্মত্যাগ করতে হবে

ব্যবসা মানে সপ্তাহের দিনগুলোতে কয়েক ঘন্টা কাজ করা বা কিংবা পকেট ভর্তি টাকা আয় করা নয়। উদ্যোক্তা হিসেবে সাফল্য লাভের জন্য আপনাকে জীবনের অনেক আরামআয়েশ ত্যাগ করতে হবে। মাঝে মাঝে নিজের জীবনের সুখশান্তি বিসর্জন দিয়ে হলেও কাস্টমারের জন্যে সুখবর এনে দিতে হবে।
স্টিভ জবসের কথাই ধরুন। তিনি নিজের প্রিয় ফল আপেলের নামে  কোম্পানির নাম রাখলেন অ্যাপল । একসময় নিজের প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে বের করে দেয়াও হয়েছিল,তবু তিনি হাল ছেড়ে দেননি। কারণ তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, তার উদ্ভাবিত পণ্য মানুষের কাজে লাগবে, পৃথিবীতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।
স্টিভ জবস তার জীবনের অনেকটাই অ্যাপলের পেছনে খরচ করেছেন। তিনি এত সকালে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতেন আর এত রাতে ঘরে ফিরতেন যে, একসময় নিজের পরিবারের মানুষের সাথে তার দেখাসাক্ষাত কমে গিয়েছিলো। এমনও দিন গেছে, যখন কাজের চাপে খাবার খাওয়ার কথাও ভুলে গেছেন।
এভাবে নিজের সময়কে কাজে লাগিয়েই স্টিভ জবস লাখো মানুষের হাতে আইফোন তুলে দিতে পেরেছেন, মৃত্যুর পরও অমর হয়ে আছেন আমাদের মাঝে।

Read More

Monday, September 3, 2018

ইউটিউবিং শুরু করতে হলে প্রথমেই যে বিষয়গুলো আপনাকে জানতে হবে

12:32 AM 0

অনলাইনে কাজ করতে আগ্রহী ও উদ্যমী তরুণদের জন্য ইউটিউব এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম গুলোর একটি। ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করতে হলে নিজস্ব কোনো সার্ভার মেনটেন করা দরকার হয় না। ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট লাগে না। বছর শেষে ডোমেইন ও হোস্টিংয়ের বিল দেওয়ারও প্রয়োজন হয় না। অথচ ইচ্ছামতো যত খুশি ততো ভিডিও আপলোড করা যায়  এবং সবগুলো ভিডিও থেকে সবসময় রোজগার করা যায়।

ইউটিউবে ভালো কনটেন্ট দিতে পারলে দীর্ঘস্থায়ী আয়, খ্যাতি, সুনাম সব একসাথে অর্জন করা যায়। তাই তরুণদের কাছে ইউটিউব এখন একটি প্যাশনের নাম। কিন্তু শুধু প্যাশন থেকেই ইউটিউবিং শুরু করলে চলবে না। সাফল্য পেতে কাজে নামার আগেই কিছু বিষয় ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। তবে সব কথার শুরুতে বলতে হয়, পৃথিবীতে পরিশ্রম ছাড়া কোনো কাজে সাফল্য পাওয়া যায় না। সুতরাং অনলাইন বা অফলাইন যেকোনো ব্যবসায় সাফল্য পেতে আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে। ইউটিউবও তার ব্যতিক্রম নয়।

আজ  ইউটিউবিং শুরু করার জন্য কিছু প্রাথমিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হল। যারা অন্যদের থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে, অথবা নিজের প্যাশন থেকে ইউটিউবিং শুরু করতে চান আজকের নিবন্ধ তাদের জন্য।

 লক্ষ্য নির্ধারণ
যেকোনো স্টার্টআপ শুরু করতে হলে যেমন লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হয়, তেমনি ইউটিউবেও সফল হতে হলে লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হয়। কেননা একটি নতুন ইউটিউব চ্যানেল নতুন একটি স্টার্টআপ শুরু করার চেয়ে কোন অংশে কম নয়। সুতরাং ইউটিউবে আপনার লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। আপনি কেন ইউটিউবিং করতে চান, এবং শেষ পর্যন্ত কোথায় পৌঁছাতে চান, এই বিষয়গুলো স্পষ্ট হয়ে নিন। শুধু পর্যাপ্তসংখ্যক সাবস্ক্রাইবার এবং ভিউ পাওয়া, আর তা থেকে রোজগার করা যেন আপনার প্রধান উদ্দেশ্য না হয়।
নিশ্চয়ই আমার এই কথা শুনে অনেকে বিভ্রান্ত হয়েছেন? ভাবছেন, ইউটিউবে সাফল্যের জন্য ভিউ, সাবস্ক্রাইবার এবং রোজগার করাই তো প্রধান উদ্দেশ্য! নিশ্চয়ই তাই। কিন্তু আপনি যদি শুধু ভিউ, সাবস্ক্রাইবার এবং রোজগারের পিছে ছুটতে থাকেন তাহলে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণে আপনি ব্যর্থ হবেন। কেননা পর্যাপ্ত ভিউ পাওয়ার জন্য নিম্ন মানের কনটেন্ট তৈরি করবেন, এবং দ্রুত সাফল্য পাওয়ার জন্য আপনি ব্যস্ত হয়ে পড়বেন, যা কোনভাবেই শুভ লক্ষণ নয়। সুতরাং এই প্রবণতা ত্যাগ করতে হবে, এবং সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে।

অর্থাৎ অন্যের সাফল্য দেখে একই ইউটিউব চ্যানেলে বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট আপলোড করা থেকে বিরত থাকতে হবে, এবং মনোযোগ সহকারে নিজের স্বতন্ত্র লক্ষ্য অর্জনের জন্য ক্রমাগত কাজ করে যেতে হবে। তবেই আসবে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য।
সাবস্ক্রাইবার
সাবস্ক্রাইবার পাওয়ার ক্ষেত্রে সাফল্য  ইউটিউবে আপনার সামগ্রিক সাফল্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কেননা পর্যাপ্ত সংখ্যক সাবস্ক্রাইবার পাওয়ার অর্থ হলো তারা প্রত্যেকেই আপনার কনটেন্ট পছন্দ করে, এবং নিয়মিত দেখতে চায়। কিন্তু আপনি চাইলেই অল্প সময়ে অধিক সাবস্ক্রাইবার অর্জন করতে পারবেন না। আবার একটি চ্যানেলে বিভিন্ন ধরনের জনপ্রিয় কাজ করেও অধিক সাবস্ক্রাইবার অর্জন করতে পারবেন না।
সুতরাং ধীরে ধীরে হলেও ক্রমাগত একই জাতীয় কন্টেন্ট তৈরি করুন, এবং সাবস্ক্রাইবার তৈরি করুন। মনে রাখবেন, আপনার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা যদি  ঊর্ধ্বমুখী হয়, তবে ক্রমশ তা চক্রবৃদ্ধির হারে বাড়তে থাকবে। সুতরাং এ নিয়ে বিচলিত হবার কিছু নেই। আপনি শুধু মনোযোগ ধরে রেখে ক্রমাগত ভিডিও আপলোড করে যান। ভুলেও বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট আপলোড করে একই চ্যানেলে অধিক সাবস্ক্রাইবার আনার প্রচেষ্টা চালাবেন না। তাতে সাফল্য দীর্ঘস্থায়ী হয় না।

ইনকাম 
একটি নতুন চ্যানেল খোলার পর চ্যানেলটি মনিটাইজ করতে ইউটিউবের কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। অর্থাৎ যে কোনো নতুন চ্যানেলে ন্যূনতম ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার এবং চার হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম থাকার পর মনিটাইজেশনের জন্য আবেদন করা যায়। তারপর ইউটিউব কর্তৃপক্ষ সাত দিন থেকে এক মাস সময়ের মধ্যে  কপিরাইট আইন এবং কমিউনিটি গাইডলাইন অনুসারে আপনার আবেদন পর্যালোচনা করে মনিটাইজেশনের অনুমতি দিয়ে থাকে।
পূর্বে এই নিয়মনীতি অনেকটাই সহজ ছিল। এখন থেকে দুই বছর আগে যে কোনো চ্যানেল খোলার পর প্রথম দিন থেকেই চ্যানেলটি মনিটাইজ করে আয় করা যেত। তারপর ইউটিউব কর্তৃপক্ষ এই নিয়ম পরিবর্তন করে ন্যূনতম ১০ হাজার ভিউ থাকার নিয়ম চালু করে। সর্বশেষ ২০১৭ সালে এই নিয়মটি ও পরিবর্তন করে ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার এবং চার হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম থাকার নিয়ম প্রবর্তন করে।

এই ছিল ইউটিউব নিয়ে আজকের আলোচনা। সামনের দিনে ইউটিউবের আরও খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে লেখার আশা রাখছি।


কিছু প্রয়োজনীয় ভিডিও - 

How To Monetize Your YouTube


Read More

Sunday, September 2, 2018

ইন্টারনেট মার্কেটিং কি ?

10:54 PM 0

ইন্টারনেট মার্কেটিং কি ? কেন এটা নিয়ে সবাই বলাবলি করছে আর ইন্টারনেটের ভাষাই বা কি ?
এটা কি মার্কেটিং বা বাজারজাতকরণ ?
আমি আপনাদের সহজভাষায় ইন্টারনেট মার্কেটিং বুঝতে সাহায্য করতে চাই। আমার বিশ্বাস আপনি এই লেখাটি পড়ে ইন্টারনেট মার্কেটিং কি এবং এটা কিভাবে টাকা উপার্জনে কাজে লাগাবেন সেটা বুঝে যাবেন।
বিস্তারিত আলোচনায় যাওয়ার আগে এবং ইন্টারনেট মার্কেটিং শেখার আগে আমাদের জানতে হবে
মার্কেটিং কি?
মার্কেটিং/বাজারজাতকরণ হচ্ছে পণ্য-সেবা গ্রাহক পর্যন্ত পৌছানোর জন্য যেসব কার্যাবলী সম্পাদন করা দরকার সেগুলো করা। এর চেয়ে সহজ আর কোন সংজ্ঞা নেই।
যেসব কার্যাবলী করা দরকার সেগুলো নিম্নরুপ –
  • উৎপাদন (Manufacturing)
  • ব্র্যান্ডিং (Branding)
  • মোড়কীকরণ (Packaging)
  • বিজ্ঞাপন (Advertisement)
  • অর্থ সংগ্রহ (Funding)
  • বিক্রয় (Selling)
তাহলে এক কথায় বলা যায় একজন মার্কেটারকে পণ্য বিক্রি করতে যা যাকরতে হয় তাই মার্কেটিং
এখন আমি আপনাকে ইন্টারনেট মার্কেটিং-এর উপর ছোটখাটো একটা ধারণা দিব। ইন্টারনেট মার্কেটিং-এর কাজ ঠিক একই কাজ যেগুলো মার্কেটিং এ করা হয়। কিন্তু এটা করা হয় ইন্টারনেট-এ, ইন্টারনেটের জন্যে এবং ইন্টারনেট থেকে। ইন্টারনেট একটা মাধ্যম ছাড়া আর কিছুই না ঠিক যেমন- খবরের কাগজ, রেডিও ও টেলিভিশন। কিন্তু ইন্টারনেটের এতটা শক্তিসম্পন্ন ও বহুমূখী হয়ে উঠার পিছনে কারণ হচ্ছে যে এর আওতা বিশ্বব্যাপী।
ইন্টারনেটের মাধ্যমে একজন নাইজেরিয়ার নাগরিক নাইজেরিয়াতে বসে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা করতে পারবে।
ইন্টারনেটে একটা ওয়েবসাইট সেটআপ করলে সেটা অনলাইন এ সারা বিশ্ব থেকে অর্ডার নিতে পারবে আর এটা চালু থাকবে দিনে ২৪ ঘন্টা/সপ্তাহে ৭ দিন/বছরের ৩৬৫ দিন।
সহজভাষায় ইন্টারনেট মার্কেটিং-এর মূল কাজ হচ্ছে কিছু না কিছু বিপনন বাবিক্রয় করা
কিন্তু ইন্টারনেট মার্কেটিং শুধু বিপনন ও বিক্রয়েই সীমাবদ্ধ থাকে না এতে আরও আছে,
  • একটা জনগোষ্ঠী(Community) তৈরী করা
  • বাজার গবেষণা করা
  • বাজারে কর্তৃত্ব স্থাপন করা
  • ব্যাবসার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করা
ইন্টারনেট মার্কেটিং-এর অসংখ্যা শাখা-প্রশাখা রয়েছে, যেমন-
ওয়েবসাইট মার্কেটিং
একটা ওয়েবসাইট সেটআপ করা মার্কেটিং-এর একটা অস্ত্র। ইন্টারনেটে ওয়েবসাইট তৈরী করা হয় তথ্য, যোগাযোগ ও পন্যের প্রচারের জন্য। ই-কমার্স সাইটগুলো নিজেই ক্রেতাদের থেকে অর্ডার নিয়ে থাকে এবং বিভিন্ন ডিজিটাল পন্য যেমন ই-বুক কিংবা অনলাইন কোর্স স্বয়ইক্রিয়ভাবেই ক্রেতাদের নিকট প্রদান করে।
উদাহরনঃ ডোমেইন এর ওয়েবসাইটে আপনি একটি .com ডোমেইন কিনতে পারবেন; টাকা দেবার সাথে সাথে আপনার ডোমেইন কার্যকর হয়ে যাবে –এখানে কোন মানুষের কাজটি পরিচালনা করার দরকার নেই। ২৪ ঘন্টা লেনদেন হচ্ছে।
সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট যেমন-ফেসবুক, টুইটার, গুগল প্লাস, লিংকড্‌ইন এইসব সাইটে মানুষ তাদের সিংহভাগ সময় ব্যয় করে থাকে। এসব সাইটে প্রায় প্রতিটি বিষয়ের উপর আগ্রহী জনগোষ্ঠী বা কমিউনিটি রয়েছে। সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করা হয় মুলত নতুন নতুন ক্রেতা পাওয়ার জন্যে এবং মার্কেটিং এর প্রসার ঘটানোর জন্যে।
সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং
বর্তমানে মানুষ বিভিন্ন তথ্য জানার জন্যে নানান সার্চ ইঞ্জিন (যেমন-গুগল, ইয়াহু, বিং ইত্যাদি) গুলোকে ব্যবহার করছে। হয়তো আপনিও Google এ সার্চ করে আমার ব্লগে এসে পড়েছেন। আপনার ওয়েবসাইটটিকে ভালোভাবে তদারকি বা অপ্টিমাইজ করলে, এসব সার্চের শীর্ষে চলে আসবে আপনার ওয়েবসাইট আর মানুষ যখন বিভিন্ন বিষয়ে সার্চ করবে তবে তখন সেটা আপনার জন্যে লাভজনক হবে। এই ধরনের মার্কেটিং-কে বলা হয় সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন।
ইমেইল মার্কেটিং
ইন্টারনেট জগতে সবারই ইমেইল/ওয়েবমেইল আইডি রয়েছে। প্রায় সব ওয়েবসাইটেই মেম্বার হওয়ার জন্য  কিংবা একাউন্ট খোলার জন্য ইমেইল আইডি প্রয়োজন। ইন্টারনেটের শুরু থেকে ইমেইলই হচ্ছে এক নম্বর যোগাযোগ মাধ্যম। ইন্টারনেট মার্কেটাররা বিভিন্ন উৎসের মাধ্যমে এসব ইমেইল আইডিগুলো সংগ্রহ করে। এরপর তারা এসব ইমেইল এ তাদের পন্যের ব্যপারে তথ্য, নিউজলেটার পাঠায় যার প্রধান উদ্দেশ্য থাকে পন্য বিক্রয় এবং গ্রাহকের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন। একেই বলে ইমেইল মার্কেটিং।
ব্যানার মার্কেটিং
ইন্টারনেটে অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ভিজিট করে। একজন ইন্টারনেট মার্কেটার সেসব সাইটগুলোতে নিজের একটা ব্যানার বিজ্ঞাপন ভাড়া নিবেন। এ ধরনের মার্কেটিং প্রচলিত ব্যানার বিজ্ঞাপনের মতই। একজন ইন্টারনেট মার্কেটার এখানে প্রতি লেনদেন এ টাকা দিবেন অথবা প্রতিটি ক্লিকে টাকা দিবেন অথবা প্রতিটি “ভিউ” এর জন্যেও টাকা দিবেন। যেটা সচরাচর সাধারন ব্যানার এড এ সম্ভব না।
মোবাইল মার্কেটিং
দিন দিন মানুষ আরো বেশি ইন্টারনেট ও স্মার্টফোনের জগতে প্রবেশ করছে। মোবাইল ব্যবহারকারীরা মোবাইলে বিভিন্ন সাইটে ঢুকছেন। মোবাইল-এর জন্য ওয়েবসাইট বানানো, মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য এপ্লিকেশন বানানো এবং মোবাইলের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য করা এসবই মোবাইল মার্কেটিং-এর আওতাভুক্ত। এছাড়াও গতানুগতিক এসএমএস মার্কেটিং এবং ইমেইল মার্কেটিং-ও মোবাইল মার্কেটিং-এ প্রচলিত রয়েছে।
ব্লগ মার্কেটিং
সাংবাদিকতার এক নতুন পন্থা হচ্ছে ব্লগিং। মানুষ এখন ব্লগের মাধ্যমে তাদের মনের অনুভূতি প্রকাশ করতে পারছে। এসব অনুভূতিগুলো মানুষের উপর প্রভাব ফেলে এবং অন্যরাও বিভিন্ন মতামত দিতে সক্ষম হয়।
একজন ইন্টারনেট মার্কেটার তার নিজের একটা ব্লগ লিখবেন এবং তার নিজের বিশ্বস্ত পাঠককুল গড়ে তুলতে পারবেন।
অনলাইন প্রেস রিলিজ(সংবাদ বিজ্ঞপ্তি) মার্কেটিং
প্রেস রিলিজ কিংবা সংবাদ বিজ্ঞপ্তির সাইটগুলো অনলাইনের বার্তা সংস্থা। ইন্টারনেট মার্কেটারগণ তাদের পন্য সম্পর্কে বস্তুনিষ্ঠ নিবন্ধ লিখে তা এসব সাইটগুলোতে পোস্ট করতে পারেন। যদি সেটি যথাযোগ্য হয় তবে সেটি বড় কোন সংবাদ মাধ্যম এবং খবরের কাগজে বা ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হবে।
ফোরাম এবং ডিস্‌কাশান মার্কেটিং
অনলাইনে প্রায় সকল বিষয়ের জন্যেই ফোরাম রয়েছে। একজন ইন্টারনেট মার্কেটার তার বার্তা ছড়াতে এসব ফোরাম-এর সাহায্য নিতে পারেন। প্রতিটি ফোরামের নানা ধরনের সদস্যগণ ও নিয়মনীতি‌ থাকে। তাই সেই মার্কেটারকে বুঝে শুনে সেসব ফোরাম গুলো বাছাই করতে হবে।
আপনি উপরের যেকোনো বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে গুগল এ সার্চ দিতে পারেন। লেখাটি আপনার প্রিয় সোস্যাল নেটওয়ার্কগুলো তে শেয়ার করুন, যেমন- ফেসবুক, টুইটার, গুগল প্লাস ইত্যাদি। এটি আমাদের এক ধরনের ইন্টারনেট মার্কেটিং।
Read More